Posts

Showing posts from December, 2016

তুমি যেই কাজটা করতে সবচেয়ে বেশী ভালবাস

Image
চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াস এর একটা কথা আছে- “ তুমি যেই কাজটা করতে সবচেয়ে বেশী ভালবাস, তা যদি জীবিকা হিসেবে বেছে নাও, তাহলে তোমাকে জীবনে এক দিনও কাজ করতে হবে না।” কিন্তু আমাদের জীবনটা তো আর কনফুসিয়াস এর মতন নয়। আমরা সবচেয়ে বেশী ভালবাসি গল্পের বই পড়তে, আমরা ভালবাসি ছবি আঁকতে, আমরা ভালবাসি মনের সবটুকুন আবেগ ঢেলে দিয়ে প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে, আমরা ভালবাসি বন্ধুদের আড্ডায় গান গেয়ে মাতিয়ে তুলতে। আমরা ভালবাসি ছোট বোনের জন্মদিনের আয়োজনটা আরও একটু মজার করে তুলতে, আমরা ভালবাসি তুখোড় বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে দিতে!! কিন্তু আমরা সত্যি কি তা পারি? কনফুসিয়াস নিজেই তা পারেন নাই! তার সকল কাজ, সকল লেখা পুড়িয়ে ফেলা হয়, এমনকি যারা তার কথা মনে রেখেছিল তাদেরও জীবিত কবর দেয়া হয়! আর আমরা তো আমরাই!!! আমরা আমাদের ইচ্ছা টুকুন পুড়িয়ে ফেলি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে গিয়ে। আমরা আমাদের নিজেদের কবর দেই অন্যের ইচ্ছার কাছে! না, এই ইচ্ছাগুলোও হয়তবা অমূলক না, প্রত্যেক বাবা মায় চায়, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎটুকুন নিশ্চিত করতে! আপনি, মা কিংবা বাবা হলে আপনিও চাইবেন। (কেউ কেউ হয়ত মনে মনে বলছেন, না! আমি আমার ছেলে মেয়

বাঘ, বিড়াল এর ড্রপআউট

Image
আমরা প্রায়ই দেখি ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটি অনেক সময় পাশ করার পর বা ড্রপআউট হয়েও এমন এক পজিশনে যায় সে ক্লাসের বিভিন্ন টপারদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোন একটা সময় ক্লাসের টপাররা তার পিছনে ছুটতে হয়। আসলে বিষয় যদি আমরা চিন্তা করে দেখি তাহলে দেখা যাবে  ক্লাসের পেছনের ছাত্রটিকে আমরা যেভাবে যাচাই করেছি সেটা হয়ত ঠিক নয় বা সেটা তার সাথে যায় না অথবা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তার এক্সপারটিজ ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্রদের তুলনায় কম। সে হয়ত নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পেছনের সারির কিন্তু এর চেয়েও বেশী কিছু বিষয়ে প্রথম সারির যেটা হয়ত আমাদের পরীক্ষার পেরামিটারে ছিল না।  যেমন আমরা যদি ১০০ মিটার দৌড়ের চ্যাম্পিয়ন খুজতে গিয়ে কিভাবে দৌড়াতে হয় তা নিয়ে একটা মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করি তাহলে হয়ত দেখা যাবে যে এ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে সে মাঠে দৌড়ের আয়োজন করলে হয়ত সবার শেষে গিয়ে পৌছিয়েছে। যে ভাইভায় প্রথম হয়েছে তার যেমন দরকার আছে তেমনি যে মাঠে গিয়ে প্রথম হয়েছে তারও দরকার আছে। কিন্তু জীবন যুদ্ধটা মাঠে গিয়ে দৌড়ানোর মত যা সব সময় শুধুমাত্র থিউরিতে ভাল করলেই হয় না। দুইটা কম্বিনেশন থাকাটা জরুরী। যখন আমরা মেধা বা এক্সপারিটিজ যাচাই করি তখ

বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁধবে ?

Image
বিপ্লবের পর চীন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ১২ বছর তাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়েভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলো। চীন সরকারের বক্তব্য ছিল, এত ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি করবে? কোথায় চাকরি পাবে? কেই বা চাকরী দিবে? এত হাজার হাজার বেকারকে চাকরী দেয়ার মত প্রতিষ্ঠান চীনে নেই। এই সময়টায় চীন ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রশিক্ষন দিয়েছিল নানা ধরনের ট্রেড কোর্সে। স্বল্প মেয়াদী ট্রেড কোর্স শিখে চীনের ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে গেলো। প্রতিটি বাড়ি গড়ে উঠল একটা করে ছোট ছোট কারখানায়। পরিবারের সবাই সেখানে কাজ করে। বড় ফ্যাক্টরী করার আলাদা খরচ নেই। ফলে পন্যের উৎপাদন খরচ কমে গেলো। বর্তমানে যে কোন পন্য স্বস্তায় উৎপাদন করার সক্ষমতায় তাদের ধারে কাছে কেউ নেই। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে চাইনিজ পন্যের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তারা বিশ্ব বানিজ্যের এক অপ্রতিরোধ্য পরাশক্তি। উপযুক্ত মুল্য দিলে তারা এমন জিনিস বানিয়ে দেবে যার গ্যারান্টি আপনি চাইলে ১০০ বছরও দিতে পারবেন। বাংলাদেশে সিমফোনি, ওয়ালটনসহ বহু প্রতিষ্ঠান এই চায়নার বদৌলতেই কিছু করে খাচ্ছে। অপর দিকে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে বেকার বা

এখনই সময় জীবনকে বদলানোরর

Image
যে সাবজেক্টটা কঠিন বলে, তুমি ফেল করেছ। সেই একই সাবজেক্টে, তোমার ক্লাসের অর্ধেকের বেশি পোলাপান ৬০ এর উপরে মার্কস পেয়েছে। যে বৃষ্টির কারণে, যে ঠাণ্ডার ভয়ে তুমি ঘর থেকে বের হওনি। সেই একই বৃষ্টিতে ভিজে, একই ঠাণ্ডায় কেপে কেপে, রিক্সাওয়ালারা ঠিকই সংসার চালানোর টাকা কামিয়ে ঘরে ফিরেছে। যে শহরে ঘুষ, অনিয়ম আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিজনেসে নামার স্বপ্নটা মাটি চাপা দিয়ে রেখেছো। সেই একই শহরে তোমার পাশের ফ্ল্যাটের একজন, ব্যবসায় নেমে ঠিকই এগিয়ে গেছে। সো, সমস্যাটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা,শীতের ঠাণ্ডা কিংবা সাবজেক্ট কঠিন হওয়ার মধ্যে না। সমস্যাটা তোমার মধ্যে। তবে সে সমস্যাটা তোমার স্বপ্ন, সাহস, চেষ্টার কমতি বা সময়ের অভাবের মধ্যে না। . শুনো, যে সিগারেট ছাড়তে চায়, সে সিগারেট ছাড়তে পারে না। যে সামনের সেমিস্টারে দুনিয়া উল্টায় ফেলতে চায়, সে সেই সেমিস্টারেও আগের সেমিস্টারের মতো লাড্ডু মারে। তাই সিগারেট ছাড়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে, আজকে দুপুরে লাঞ্চ শেষ করে সাথে সাথে সিগারেট না ধরিয়ে, ৫ মিনিট পরে সিগারেট জ্বালানোর টার্গেট সেট করতে হবে। পরেরদিন ঠিক একই কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। পুরা সেমিস্টার পড়ে তাল গাছে উঠ

উঠে দাড়াতে শিখো

Image
মানুষ যখন কোন রিলেশনে থাকে, তখন বিপরীত মানুষটার ওপর অতি মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তার চলাফেরা, ওঠাবসা, চিন্তা ভাবনা সব কিছুই বিপরীত মানুষটাকে ঘিরে আবর্তিত হয়। . কিছু খেতে গেলে মনে হয়, "ও খাইছে তো? একটা ফোন দিয়ে দেখি।" বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাবার কথা থাকলেও, মানুষটা একা একা মন খারাপ করবে ভেবে নিষেধ করে দেয়া হয়। . ক্লাস মিস, টিউটোরিয়াল মিস, বাসায় মিথ্যা কথা, অফিস ফাঁকি, বন্ধুদের সাথে চালাকি ... ভালোবাসার মানুষটার জন্য একটা মানুষ কত ঝুঁকিই না নেয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কত শত হ্যাপি মোমেন্টস শেয়ার করা মানুষটাই হঠাৎ একদিন ছেড়ে চলে যায়। তোমাকে এখন তার আর আর ভালো লাগে না। যাবার আগে তোমার পৃথিবীটা শূণ্য করে দিয়ে চলে যাবে। সেই শূন্যতায় তুমি খাবি খেলেও তার কিছু আসবে যাবে না। . কষ্টের প্রথম ধাক্কাটা সামাল দেয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। সর্বপ্রথম মাথায় যে চিন্তাটা চলে আসে, "আমার আর বেঁচে থেকে কি লাভ?" প্রথম ধাক্কাটা সামলে ওঠার পর শুরু হয়, সবার সামনে নিজেকে স্বাভাবিক দেখানোর প্রচেষ্টা। প্রতিনিয়ত দুটো যুদ্ধ করে যেতে হয়, একটা নিজের সাথে, আরেকটা বাইরের মানুষদের সাথে। ভেতরের আমিটা ছা

না থামা যাবে না

Image
এক তরুণী তার বাবাকে সাথে নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করছিলো। কিছুক্ষণ পর আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো এবং তুমুল ঝড় শুরু হলো। তরুণী টি ভয় পেয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো,বাবা কি করবো! পাশের সিট থেকে বাবা মেয়েকে সাহস যোগালেন, তুমি ড্রাইভ করতে থাকো। থেমো না। তরুণী টি গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো, কিন্তু ঝড়ের প্রচন্ডতা আরো বেড়ে যাওয়াতে গাড়ি ড্রাইভ করা কঠিন হয়ে পড়ছিলো। কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো। তরুণী টি আবারো তার বাবার কাছে জানতে চাইলো থামবে কিনা। বাবা আগের মতই ড্রাইভ করতে বললেন। কিছুদুর ড্রাইভ করার পরে তরুণী লক্ষ্য করলো তার পথের কিছু সামনে ষোলো চাকার একটা লরি রাস্তার পাশে সাইডকরে থেমে যাচ্ছে। তার সামনে আরো কিছু গাড়ি রাস্তার একপাশে পার্ক করে থেমে আছে।দৃশ্যটি দেখে তরুণী টি বাবাকে বললো, বাবা এবার আমাদের থামতেই হবে। আশেপাশের সবাই দেখো গাড়ি ড্রাইভ করা বন্ধ করে পথের পাশে থেমে যাচ্ছে। কিন্তু বাবা সেই আগের মতই তার সিদ্ধান্তে অটল। হাল ছেড়োনা। তুমি ড্রাইভ করতে থাকো। বাবার কথা শুনে মেয়েটি সাহস পেলো এবং প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যেও আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগাতে লাগলো। এভাবে ক