বাঘ, বিড়াল এর ড্রপআউট

আমরা প্রায়ই দেখি ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটি অনেক সময় পাশ করার পর বা ড্রপআউট হয়েও এমন এক পজিশনে যায় সে ক্লাসের বিভিন্ন টপারদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোন একটা সময় ক্লাসের টপাররা তার পিছনে ছুটতে হয়। আসলে বিষয় যদি আমরা চিন্তা করে দেখি তাহলে দেখা যাবে  ক্লাসের পেছনের ছাত্রটিকে আমরা যেভাবে যাচাই করেছি সেটা হয়ত ঠিক নয় বা সেটা তার সাথে যায় না অথবা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তার এক্সপারটিজ ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্রদের তুলনায় কম। সে হয়ত নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পেছনের সারির কিন্তু এর চেয়েও বেশী কিছু বিষয়ে প্রথম সারির যেটা হয়ত আমাদের পরীক্ষার পেরামিটারে ছিল না।  যেমন আমরা যদি ১০০ মিটার দৌড়ের চ্যাম্পিয়ন খুজতে গিয়ে কিভাবে দৌড়াতে হয় তা নিয়ে একটা মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করি তাহলে হয়ত দেখা যাবে যে এ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে সে মাঠে দৌড়ের আয়োজন করলে হয়ত সবার শেষে গিয়ে পৌছিয়েছে। যে ভাইভায় প্রথম হয়েছে তার যেমন দরকার আছে তেমনি যে মাঠে গিয়ে প্রথম হয়েছে তারও দরকার আছে। কিন্তু জীবন যুদ্ধটা মাঠে গিয়ে দৌড়ানোর মত যা সব সময় শুধুমাত্র থিউরিতে ভাল করলেই হয় না। দুইটা কম্বিনেশন থাকাটা জরুরী। যখন আমরা মেধা বা এক্সপারিটিজ যাচাই করি তখন আসলে সেখানে কিছু পেরামিটার সেট করা উচিত যেটা নির্ধারণ করবে আমরা আসলে কি খুজছি । এ বিষয়টা একটা দেশেকে অনেক উপরে তুলতে পারে অথবা তার ভুল দেশকে একদম নামিয়ে দিতে পারে। ধরলাম আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকরা একটা যন্ত্র বানিয়েছেন যেটার উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন প্রাণীর মধ্য থেকে বাঘ খুজে বের করা। এখন  যন্ত্রের ক্যামেরায় ফিল্টার বসাতে গিয়ে যদি ভুলবশত এমন ফিল্টার বসায় যেটা শুধুমাত্র সাদা আর কালো ডিটেক্ট করবে তাহলে সে যন্ত্রটা বাঘের পরিবর্তে বিড়াল  কিংবা গরু খুজে বের করবে।
আমরা যদি এমন মানুষকে বাঘ খোজার দায়িত্ব দেই যে কোনদিন বাঘ দেখে নি তাহলে সে বেড়াল খুজে বের করে বাঘ হিসেবে প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করবে যা দেশের জন্য হবে ভয়াবহ। আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি আমাদের দেশের নির্ধারকদের হয়েছে এ অবস্থা। শেষের লাইনটা লিখে কোন আইন ভঙ্গ করলাম কিনা এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।

Comments

Popular posts from this blog

Link3 FTP Server

কেন গবেষণা করব?

যে কারনে রাত জেগে কাজ করা বেশি প্রোডাক্টিভ!