তুমি যেই কাজটা করতে সবচেয়ে বেশী ভালবাস

চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াস এর একটা কথা আছে-
“ তুমি যেই কাজটা করতে সবচেয়ে বেশী ভালবাস, তা যদি জীবিকা হিসেবে বেছে নাও, তাহলে তোমাকে জীবনে এক দিনও কাজ করতে হবে না।”

কিন্তু আমাদের জীবনটা তো আর কনফুসিয়াস এর মতন নয়। আমরা সবচেয়ে বেশী ভালবাসি গল্পের বই পড়তে, আমরা ভালবাসি ছবি আঁকতে, আমরা ভালবাসি মনের সবটুকুন আবেগ ঢেলে দিয়ে প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে, আমরা ভালবাসি বন্ধুদের আড্ডায় গান গেয়ে মাতিয়ে তুলতে। আমরা ভালবাসি ছোট বোনের জন্মদিনের আয়োজনটা আরও একটু মজার করে তুলতে, আমরা ভালবাসি তুখোড় বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে মুগ্ধ করে দিতে!! কিন্তু আমরা সত্যি কি তা পারি? কনফুসিয়াস নিজেই তা পারেন নাই! তার সকল কাজ, সকল লেখা পুড়িয়ে ফেলা হয়, এমনকি যারা তার কথা মনে রেখেছিল তাদেরও জীবিত কবর দেয়া হয়! আর আমরা তো আমরাই!!! আমরা আমাদের ইচ্ছা টুকুন পুড়িয়ে ফেলি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে গিয়ে। আমরা আমাদের নিজেদের কবর দেই অন্যের ইচ্ছার কাছে! না, এই ইচ্ছাগুলোও হয়তবা অমূলক না, প্রত্যেক বাবা মায় চায়, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎটুকুন নিশ্চিত করতে! আপনি, মা কিংবা বাবা হলে আপনিও চাইবেন। (কেউ কেউ হয়ত মনে মনে বলছেন, না! আমি আমার ছেলে মেয়ে যা হতে চায় তাই হতে দিব! আপনার বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন! তারাও একসময় তাই চেয়েছিল। তারাও পারেন নাই, আপনিও হয়ত পারবেন না। কারণ আপনি যে অনেক আগেই হেরে গিয়েছেন।) এটিই সত্যি, এটিই বাস্তবতা।
কিন্তু না! আমরা তা চাই না। আসুন না, একটু অন্যরকম করে চিন্তা করি। আমরা এখনি আপনাকে হারিয়ে দিতে চাই না। আমাদের অনেক ছোট ছোট ইচ্ছাই একটু খানি সাহসের অভাবে হারিয়ে যায় চিরতরে। একটু সময় নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ান। নিজেকে দেখতে ভয় লাগলে বাতি নিভিয়ে দিতে পারেন! এরপর জিজ্ঞাসা করুন আপনি আসলে কি ভালবাসেন?
_আপনি কি অনেক গল্পের বই পড়তে ভালবাসতেন একসময়? এখন হয়ত আর সময় হয়ে উঠে না। একসময় পড়তে পড়তে আপনার নিজেরই লিখার ইচ্ছা হত অনেক।
_আপনি কি এক সময় খাতায় লেখার সময় চারিপাশ আকাআকি করে ভরিয়ে তুলতেন?
_আপনি কি এমন একজন যার মাথায় সারাদিন বিভিন্ন রকম আইডিয়া এতই ঘুরঘুর করে যে রাতে ঠিকমতন ঘুমাতে পারেন না?
_কিংবা আপনার মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ছোট খাট একটা গল্প নিয়ে বেশ বড়সড় শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলতে?
_অথবা হতে পারে অন্য যেকোনো বিষয়, যে কাজটা করতে আপনি সত্যি, সত্যিই খুব ভালবাসেন।
এবার বাতি জ্বালিয়ে আরেকবার নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন? আপনি কি সত্যি আপনার কাজটি করতে ভালবাসেন?
আর লেগেপরুন আপনার ভালবাসার কাজে, কেননা যে জিনিসটার মদ্ধে ভাললাগা নাই সেটা আপনার জীবনকে যতটুকু না আনন্দ দেবে তার চেয়ে বেসি আনন্দ কেরে নেবে। আর পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নেই যেখানে প্রতিবন্ধকতা নেই, কিন্তু কাজটা যদি হয় ভাললাগার তাহলে পথ যত বন্ধুরই হক না কেন তা পারি দিতে যতবর বাধাই আসুকনা কেন তা আপনাকে কখন ক্লান্ত করবে নাহ।

Comments

Popular posts from this blog

Link3 FTP Server

কেন গবেষণা করব?

যে কারনে রাত জেগে কাজ করা বেশি প্রোডাক্টিভ!