উঠে দাড়াতে শিখো

মানুষ যখন কোন রিলেশনে থাকে, তখন বিপরীত মানুষটার ওপর অতি মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তার চলাফেরা, ওঠাবসা, চিন্তা ভাবনা সব কিছুই বিপরীত মানুষটাকে ঘিরে আবর্তিত হয়।
.
কিছু খেতে গেলে মনে হয়, "ও খাইছে তো? একটা ফোন দিয়ে দেখি।" বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাবার কথা থাকলেও, মানুষটা একা একা মন খারাপ করবে ভেবে নিষেধ করে দেয়া হয়।
.
ক্লাস মিস, টিউটোরিয়াল মিস, বাসায় মিথ্যা কথা, অফিস ফাঁকি, বন্ধুদের সাথে চালাকি ... ভালোবাসার মানুষটার জন্য একটা মানুষ কত ঝুঁকিই না নেয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কত শত হ্যাপি মোমেন্টস শেয়ার করা মানুষটাই হঠাৎ একদিন ছেড়ে চলে যায়। তোমাকে এখন তার আর আর ভালো লাগে না। যাবার আগে তোমার পৃথিবীটা শূণ্য করে দিয়ে চলে যাবে। সেই শূন্যতায় তুমি খাবি খেলেও তার কিছু আসবে যাবে না।
.
কষ্টের প্রথম ধাক্কাটা সামাল দেয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। সর্বপ্রথম মাথায় যে চিন্তাটা চলে আসে, "আমার আর বেঁচে থেকে কি লাভ?" প্রথম ধাক্কাটা সামলে ওঠার পর শুরু হয়, সবার সামনে নিজেকে স্বাভাবিক দেখানোর প্রচেষ্টা। প্রতিনিয়ত দুটো যুদ্ধ করে যেতে হয়, একটা নিজের সাথে, আরেকটা বাইরের মানুষদের সাথে। ভেতরের আমিটা ছাড়া আর কেউ জানে না বাইরের আমিটা কতটা কষ্ট নিয়ে মুখের হাসিটা ধরে রাখে।
.
তুমি যখন কোন কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়াবে, তোমার ওজন ধরে রাখা বস্তুটা হঠাৎ সরিয়ে নিলে তুমি পড়ে যাবে। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় ব্যথার পরিমানটাও বেশী হবে। দু'ধরণের মানুষ আছে। একদল পড়ে গেলে তাকে তোলার জন্য কারও হাতের অপেক্ষা করে। আরেকদল কষ্ট সহ্য করে দাঁতে দাঁত চেপে উঠে দাঁড়ায়। আর এই উঠে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াটাতেই তারা নিজেদের ভেতরের শক্তিটুকু খুঁজে পায়। নিজেকে নতুন করে চিনতে শিখে। এরপর থেকে সে দাঁড়ালে নিজের দু'পায়ের জোরেই দাঁড়ায়, কোন কিছুতে ভর দিয়ে নয়।
.
একটা মানুষ পড়ে যাবার পর নিজের ভেতরে জমে থাকা মানসিক শক্তিটুকুর আন্দাজ পায়। কখনও পড়ে না যাওয়া মানুষগুলো অসতর্ক থাকে, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া যায়। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ানো মানুষগুলো সতর্ক থাকে, কেউ ধাক্কা দিতে চাইলে একটু সরে উল্টো তাকেই পড়ে যাবার ব্যবস্থা করে দেয়।

Comments

Popular posts from this blog

Link3 FTP Server

কেন গবেষণা করব?

Arduino Adventures by Floyd Kelly James and Harold Timmis