শুধু এক দিক থেকে বিচার করে সিএসইতে (CSE) ভর্তি করাবেন না
সিএসই (CSE) যার পূর্ণরুপ হল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০১৮ সালে এই সাবজেক্ট এর বিশাল বাজার মূল্য রয়েছে কারণ বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। কিন্তু একটা বিষয় আমি খেয়াল করছি গত তিন বছর এর বেশি সময় ধরে তা হল এই সাবজেক্ট এ যারা পড়তে আশে তারা ২ টা দিক খেয়াল করে আশে। ১) বাজার চাহিদা রয়েছে ২) আমার ছেলে/মেয়ে তো সারা দিন মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকে তাকে এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে দিলে ভালো করবে।
প্রথমেই বলে রাখি আমার এই পোস্টটা পড়ার পর যাদের স্বপ্ন সিএসই নিয়ে পড়াহয়তো তারা হতাশ হতে পারেন। তবে আমি যা লিখতেছি তা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে লিখা তাই এই লিখাটা যে বাকি সবার মতের সাথে মিলবে অথবা ১০০% সঠিক তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
বাজার চাহিদাঃ সিএসই সাবজেক্ট এর বাজার চাহিদা ভালো তা দেখে যদি আপনি/আপনার ভাই/বোন/ছেলে/মেয়েকে এই সাবজেক্ট এ ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আমার মতামত হবে এই সিদ্ধান্ত থেকে বেড়িয়ে আসুন। কারণ আমার দেখা মতে এইটাই এমন এক সাবজেক্ট যেই সাব্জেক্ট এর পিছনে ২৪ ঘণ্টার মঝে ১৮ ঘণ্টা কাজ করার পরও নিজেকে বেস্ট বলে দাবি করা প্রায় আসম্ভব। তাহলে প্রশ্ন করতে পারেনঃ আপনি বলছেন ১৮ ঘণ্টার কথা, অনেক সিএসই ছাত্রকে তো দেখেছি যারা সারাদিন ভভঘুরের মত এদিক ওদিক ঘুরায়। এর উত্তরটা আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করেই দিলাম না হয়। আপনি আসল সন্নাসীদের কখনো কি হাটে-বাজারে কিংবা টাকার বিনিময়ে কাজ করতে দেখেছেন? আশা করি বুঝতে পেরেছেন ✌
সারা দিন মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকাঃ আমরা মনে করি সারা দিন মোবাইল আর কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলেই সে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার যোগ্য। এমন ধারণা করাও আমার কাছে অযৌক্তিক। কারন সে যদি সারা দিন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান কিংবা ক্যান্ডি ক্রাশ অথবা চ্যাটিং নিয়ে বসে থাকে তাহলে সে শুধু মাত্র একজন মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহারকারী। আর তার সাথে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এর পার্থক্য দিন-রাত যেমনটা বলতে পারি একজন গাড়ি চালক আর টয়োটা কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে। তাই শুধু এক দিক থেকে বিচার করে সিএসসিতে ভর্তি করাবেন না। কারণ পরে যদি সে ভালো করে কাজ না শিখতে পারে তখন কোথাও সে ভালো চাকুরি পাবে না।
তারপর যে জিনিষটা থাকা দরকার প্রতিটি সিএসই ছাত্র-ছাত্রীদের তা হল কম্পিউটার এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার ধৈর্য। এই জিনিসটার বিশাল অভাব সিএসই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। কোন একটা সমস্যা নিয়ে আমরা ৫ মিনিটের বেশি সময় ভাবতেই রাজি না। আর ৯৮% ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার সময় প্রতিদিন ২ ঘণ্টারও কম। যার ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বাহির হয়ে যাচ্ছে গাদাগাদা সার্টিফিকেট নিয়ে। আর তার সাথে মুখে একটাই কথা ভালো চাকুরি নাই। অপরদিকে ভালো ভালো কোম্পানি বলতেছে যোগ্য কর্মী নাই।
আবারো কিছু কথা বলতে চাই বাজার চাহিদা নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন করেনঃ তাহলে বাংলাদেশ থেকে তো অনেকেই দেখি গ্র্যাজুয়েশন করে সরাসরি গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের সাথে কাজ করে। তাদের তো হিউউজ বেতন 👂 আবারো বলবঃ ঠিক বলছেন তবে এটা শুধু তাদের জন্য যারা কাজ জানে। আজকাল কিন্তু গুগল, ফেইসবুক প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ছাড়াই তাদের কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। শুধু আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে কিংবা কম্পিউটারের যে কোন একটা সেক্টরে দক্ষ হতে হবে।
এখন আসি প্রোগ্রামিং এর বিষয়ে। প্রথমেই বলব প্রোগ্রামিং এমন নয় যে মুখস্ত করে নিলাম আর আমি প্রোগ্রামার হয়ে গেলাম। জিনিসটা হলো সম্পূর্ণ প্রাকটিস এর উপর। আর এত পরিমানে প্রাকটিস করতে হবে যে আপনার চিন্তা ভাবনাকে বদলে দিবে। আপনাকে এমন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যা আপনি ভাবতেও পারবেন না । আবার সেই সমস্যাকে সবচাইতে সহজভাবে সমাধান করার মাধ্যমেই আপনি আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। তাই আবারও বলছি ভেবে দেখুন 👀
ওয়েট ওয়েট 🤪
এখানেই তো সব শেষ নয় আর হলে হয়তো ভালই হতো 😂
এখন আসি আমাদের পরিবেশ নিয়ে। আপনি কাজে বসলেন আর সিদ্ধান্ত নিলেন আজকে তো আমি এই সমস্যাটা সমাধান করেই তারপর উঠব আর যখন মনোযোগ দিলেন তখনই আপনার প্রিয় ফোনটা বেজে উঠল ( ধুমবা চলে) । আর এভাবেই আপনার মনোযোগ চুরি হয়ে গেল। বঞ্চিত হলেন সেই হিউউজ বেতন থেকে 🤦♀️🤦♂️
আর যদি ফোনটা বেজে নাও উঠে তারপরও কিন্তু নোটিফিকেশন তো বেজে উঠবেই। এখন আমাকে এইটা বলবেন না প্লিজঃ "আমি তো নোটিফিকেশনের কাছে যাই না, নোটিফিকেশন আমার কাছে আসে ! "
তাই বলব, প্লিজ ভাই / বোনেরা সিএসইতে যদি পড়তেই চাও তাহলে বুঝে শুনে আগাও। একটা ভুল সিদ্ধান্ত তোমার সারা জীবনকে ভুল দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আর যারা আমার মত সিএসই এর প্রেমে পরেই গেছো তাদের জন্য রইলো শুভকামনা। সবার জন্য প্রোগ্রামিং কঠিন হলেও আমাদের জন্য ইহা এক ভালবাসা জায়গা।
শুভ হোক সকলের পথ চলা......
প্রথমেই বলে রাখি আমার এই পোস্টটা পড়ার পর যাদের স্বপ্ন সিএসই নিয়ে পড়াহয়তো তারা হতাশ হতে পারেন। তবে আমি যা লিখতেছি তা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে লিখা তাই এই লিখাটা যে বাকি সবার মতের সাথে মিলবে অথবা ১০০% সঠিক তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
বাজার চাহিদাঃ সিএসই সাবজেক্ট এর বাজার চাহিদা ভালো তা দেখে যদি আপনি/আপনার ভাই/বোন/ছেলে/মেয়েকে এই সাবজেক্ট এ ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আমার মতামত হবে এই সিদ্ধান্ত থেকে বেড়িয়ে আসুন। কারণ আমার দেখা মতে এইটাই এমন এক সাবজেক্ট যেই সাব্জেক্ট এর পিছনে ২৪ ঘণ্টার মঝে ১৮ ঘণ্টা কাজ করার পরও নিজেকে বেস্ট বলে দাবি করা প্রায় আসম্ভব। তাহলে প্রশ্ন করতে পারেনঃ আপনি বলছেন ১৮ ঘণ্টার কথা, অনেক সিএসই ছাত্রকে তো দেখেছি যারা সারাদিন ভভঘুরের মত এদিক ওদিক ঘুরায়। এর উত্তরটা আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করেই দিলাম না হয়। আপনি আসল সন্নাসীদের কখনো কি হাটে-বাজারে কিংবা টাকার বিনিময়ে কাজ করতে দেখেছেন? আশা করি বুঝতে পেরেছেন ✌
সারা দিন মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকাঃ আমরা মনে করি সারা দিন মোবাইল আর কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকলেই সে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার যোগ্য। এমন ধারণা করাও আমার কাছে অযৌক্তিক। কারন সে যদি সারা দিন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান কিংবা ক্যান্ডি ক্রাশ অথবা চ্যাটিং নিয়ে বসে থাকে তাহলে সে শুধু মাত্র একজন মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যাবহারকারী। আর তার সাথে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এর পার্থক্য দিন-রাত যেমনটা বলতে পারি একজন গাড়ি চালক আর টয়োটা কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে। তাই শুধু এক দিক থেকে বিচার করে সিএসসিতে ভর্তি করাবেন না। কারণ পরে যদি সে ভালো করে কাজ না শিখতে পারে তখন কোথাও সে ভালো চাকুরি পাবে না।
তারপর যে জিনিষটা থাকা দরকার প্রতিটি সিএসই ছাত্র-ছাত্রীদের তা হল কম্পিউটার এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার ধৈর্য। এই জিনিসটার বিশাল অভাব সিএসই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। কোন একটা সমস্যা নিয়ে আমরা ৫ মিনিটের বেশি সময় ভাবতেই রাজি না। আর ৯৮% ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার সময় প্রতিদিন ২ ঘণ্টারও কম। যার ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বাহির হয়ে যাচ্ছে গাদাগাদা সার্টিফিকেট নিয়ে। আর তার সাথে মুখে একটাই কথা ভালো চাকুরি নাই। অপরদিকে ভালো ভালো কোম্পানি বলতেছে যোগ্য কর্মী নাই।
আবারো কিছু কথা বলতে চাই বাজার চাহিদা নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন করেনঃ তাহলে বাংলাদেশ থেকে তো অনেকেই দেখি গ্র্যাজুয়েশন করে সরাসরি গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের সাথে কাজ করে। তাদের তো হিউউজ বেতন 👂 আবারো বলবঃ ঠিক বলছেন তবে এটা শুধু তাদের জন্য যারা কাজ জানে। আজকাল কিন্তু গুগল, ফেইসবুক প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ছাড়াই তাদের কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। শুধু আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে কিংবা কম্পিউটারের যে কোন একটা সেক্টরে দক্ষ হতে হবে।
এখন আসি প্রোগ্রামিং এর বিষয়ে। প্রথমেই বলব প্রোগ্রামিং এমন নয় যে মুখস্ত করে নিলাম আর আমি প্রোগ্রামার হয়ে গেলাম। জিনিসটা হলো সম্পূর্ণ প্রাকটিস এর উপর। আর এত পরিমানে প্রাকটিস করতে হবে যে আপনার চিন্তা ভাবনাকে বদলে দিবে। আপনাকে এমন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে যা আপনি ভাবতেও পারবেন না । আবার সেই সমস্যাকে সবচাইতে সহজভাবে সমাধান করার মাধ্যমেই আপনি আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। তাই আবারও বলছি ভেবে দেখুন 👀
ওয়েট ওয়েট 🤪
এখানেই তো সব শেষ নয় আর হলে হয়তো ভালই হতো 😂
এখন আসি আমাদের পরিবেশ নিয়ে। আপনি কাজে বসলেন আর সিদ্ধান্ত নিলেন আজকে তো আমি এই সমস্যাটা সমাধান করেই তারপর উঠব আর যখন মনোযোগ দিলেন তখনই আপনার প্রিয় ফোনটা বেজে উঠল ( ধুমবা চলে) । আর এভাবেই আপনার মনোযোগ চুরি হয়ে গেল। বঞ্চিত হলেন সেই হিউউজ বেতন থেকে 🤦♀️🤦♂️
আর যদি ফোনটা বেজে নাও উঠে তারপরও কিন্তু নোটিফিকেশন তো বেজে উঠবেই। এখন আমাকে এইটা বলবেন না প্লিজঃ "আমি তো নোটিফিকেশনের কাছে যাই না, নোটিফিকেশন আমার কাছে আসে ! "
তাই বলব, প্লিজ ভাই / বোনেরা সিএসইতে যদি পড়তেই চাও তাহলে বুঝে শুনে আগাও। একটা ভুল সিদ্ধান্ত তোমার সারা জীবনকে ভুল দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আর যারা আমার মত সিএসই এর প্রেমে পরেই গেছো তাদের জন্য রইলো শুভকামনা। সবার জন্য প্রোগ্রামিং কঠিন হলেও আমাদের জন্য ইহা এক ভালবাসা জায়গা।
শুভ হোক সকলের পথ চলা......
Thanks..
ReplyDeleteThat was a great article
Thanks for your kind information
Delete